স্বাস্থ্য মানুষের জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। অপরদিকে মানসিক প্রশান্তি ছাড়া আমাদের জীবনের সুখ শান্তি কল্পনা করা যায় না। আমাদের জীবনে সুখ শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্য যেমন অমূল্য সম্পদ, তেমনি ভাবে মানসিক প্রশান্তির গুরুত্বও অতুলনীয়। ভালো স্বাস্থ্য আমাদের কঠর পরিশ্রমী করে এবং আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। অপরদিকে মানসিক প্রশান্তি আমাদের জীবনকে ভাল ভাবে উপভোগ করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের জীবনে সুস্বাস্থ্য এবং মানসিক প্রশান্তি দুটির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজকের এই প্রবন্ধে আমরা কিভাবে স্বাস্থ্য সম্মত জীবন এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারি সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য যে বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা আমাদের সুখী ও সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি। আমরা শারীরিক ভাবে সুখী হতে চাইলে প্রথমে আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। আর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমাদের সঠিক এবং পুষ্ঠিকর খাবার খেতে হবে। আবার মানসিক সুস্থতা ও শান্তির জন্য আমাদের নিয়মিত কিছু শরীর চর্চা করতে হবে যেমন, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যপ্ত ঘুম, মেডিটেশন ইত্যাদি। ভালো স্বাস্থ্য আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, আর মানসিক প্রশান্তি আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে সাহায্য করে। কিন্তু সুস্থ ও প্রশান্ত জীবনযাপন করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নিচে স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো।
১. সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খান
আমাদের শারীরিক সুস্ততা ও স্বাস্থ্য সম্পুর্ন নির্ভর করে সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবারের উপর। আমরা যদি শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাই তবে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সুষম খাদ্য রাখতে হবে, যাতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে। প্রতিদিন পরিমাণ মত তাজা ফল, শাকসবজি, বাদাম ও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে অতিরিক্ত চিনি, প্রসেসড ফুড ও ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। এসবের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এভাবে প্রতিদিন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আমরা শরীরকে স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্থ সবল রাখতে পারি। আর শরীর সুস্থ সবল থাকলে আমরা মানসিক ভাবেও ভালো থাকতে পারবো।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শারীরিক সু-স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের সকল ক্লান্তি দূর করে একটা সুন্দর ফুরফুরে অনুভূতি প্রদান করে। আমাদের প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। প্রতিদিন ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখে না, বরং মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। আবার অনেকের শরীরের ওজন অনেক বেশি থাকার কারণেও মানসিক শান্তি কাজ করে না। তাই আমাদের শরীরের ওজন উচ্চতা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। সঠিক ব্যায়াম এবং ডায়েট আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায়্য করে। যার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং মানসিক প্রশান্তি অনুভব করতে পারি।
৩. মানসিক প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন
আমরা অফিসে বা বাসায় অনেক সময় ধরে কাজ করার ফলে আমাদের মাথায় এক প্রকার প্রেসার সৃষ্টি হয়। আর অতিরিক্ত প্রেসারের ফলে আমাদের মাথা ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং আমাদের মাঝে অলসতা লক্ষ্য করা যায়। তাই আমাদের কাজের ফাকে মাঝে মাঝে একটু বিশ্রাম নিতে হবে এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু একটিভিটি করতে পারি। মানসিক প্রশান্তির জন্য আমাদের প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন করতে হবে যাতে সারাদিনের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আবার কাজের ফাকে বা মাঝে মাঝে গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে, এর ফলে আমাদের মানসিক চাপ কমতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদন কাজের পর আমাদের কিছু সময় মানসিক প্রশান্তির জন্য ধ্যান, যোগব্যায়াম ও প্রার্থনার অভ্যাস গড়ে তুলতে জরুরি। এভাবে ব্যায়াম এবং মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারি।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
ঘুম মানুষের জীবনের একটা অমূল্য সম্পদ। একটা ভাল ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেমন পুষ্টিকর খাবার খাই, তেমনি ভাবে একটা ভাল ঘুম আমাদের শরীরের জন্য সুষম খাবারের মত কাজ করে। সারা দিনের কর্ম জীবনের কাজের ক্লান্তি দূর করতে একটা ভাল ঘুমই যথেষ্ট। তাই আমাদের প্রতিদিন কম পক্ষ্যে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত, যা আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা অনেকে আছি রাত জেগে সোস্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করি বা অনেক আজেবাজে কাজ করে রাতে অনেক দেরি করে ঘুমায়। যার ফলে আমাদের কাজের জন্য সকালে উঠতে হয় এবং ঠিক মত ঘুম হয় না। এ জন্য আমাদের শরীরে একটা ক্লান্ত অনুভতি কাজ করে এবং কাজের সময় অলসতা চলে আসে। তাই আমাদের উচিত সময় মত ঘুমানো এবং সময় মত ঘুম থেকে উঠা। আর ভালো ঘুমের জন্য আমাদের ঘুমানোর আগে সকল প্রকার কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, মোবাইল এবং টিভি দেখা কমিয়ে দিতে হবে।
৫. মানসিক চাপ কমানোর উপায় শিখুন
মানসিক চাপ আমাদের কাজের গতি এবং কর্মদক্ষতাকে অনেক ভাবে কমে দেয়। মানসিক চাপের ফলে আমরা কাজে ঠিক মত মনোযোগ দিতে পারি না। যার ফলে কাজের গতি কমে যায় এবং সময় মত কাজ সম্পন্ন করতে পারি না। সময় মত কাজ সম্পন্ন করতে এবং কাজে মনোযোগ বাড়াতে আমাদের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য আমাদের প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখতে হবে, যা আমাদের মানসিকভাবে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে। আবার আমাদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে খুব বেশি চিন্তা বা দুশ্চিন্তা আমাদের মাথায় যেনো বাসা না বাঁধে। আমাদের মানসিক চাপের একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করা। আর এমন সব চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে যেসব কাজ করলে আমাদের ভালো লাগবে সে সব কাজ করতে হবে। যে সব কাজ করলে আমাদের মনে আনন্দ অনুভব হয় সে সমস্ত কাজ আমাদের করতে হবে। গান শোনা, বই পড়া বা এমন অনেক ধরণের কাজ আছে যা করলে আমাদের আনন্দ অনুভব হয়ে থাকে। এসব কাজের মাধ্যমে আমরা মানসিক চাপ কমাতে পারি এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রশান্তি লাভ করতে পারি।
৬. ইতিবাচক চিন্তা ও ধৈর্য ধরুন
আমাদের চিন্তাধারাকে সব সময় ইতিবাচক রাখতে হবে এবং যে কোন কাজে ধৈর্য ধারন করতে হবে। সকল কাজে ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে, নেতিবাচক চিন্তা ও হতাশা থেকে দূরে থাকতে হবে। যে কোন কাজে আমাদের ভুল ভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু কোন সময় হতাশ হওয়া যাবে না। নিজের ভুলগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করতে হবে। কারণ ভুলের উর্ধে কেউ নেই, সকলেই ভুল করে এবং সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো কিছু করে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা যে কাজে সফলতা অর্জন করি তা কোন দিন ভুল হবে না। তাই ভুল করলে হতাশ হবার কিছু নেই, আমাদের চিন্তা করতে হবে ভুল আমাদের ভালোর জন্যেই হয়েছে। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে ভুলকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। আর কোন কিছু কঠিন করে দেখা যাবে না, সব কিছু সহজভাবে নিতে হবে এবং জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। জীবন থেকে আমরা যা পেয়েছি এবং যা হারিয়ে শিখেছি সব কিছুর জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। আর এই ইতিবাচক চিন্তা এবং ধৈর্য শক্তি আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেয়ে সাহায্য করবে। আর এই ইতিবাচক চিন্তার ফলে আমরা মানসিক ভাবে প্রশান্তি লাভ করতে পারি এবং সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে পারি।
৭. সামাজিক সম্পর্ক ভালো রাখুন
আমাদের জীবনে সামাজিক সম্পর্ক একটি অনেক বড় বিষয়। সমাজে বসবাস করতে হলে আমাদের অনেকের সাথে সম্পর্ক রাখতে হয়। অনেক সময় এসব সম্পর্কের মাঝে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়, যার ফলে যে কোন মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট বা খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে যেনো পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ হলে আমাদের উচিত সেই সম্পর্ক কিভাবে ভালো হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা। সম্পর্ক খারাপ হলে আমাদের মাথায় একটা বাড়তি চিন্তা সব সময় নারা দেয়। যার ফলে আমরা কাজে ভাল ভাবে ফোকাস দিতে পারি না এবং কাজ করার মানসিকতা কমে যায়। আমাদের মানসিক শান্তি রক্ষার জন্য সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিনিয়ত যাদের সাথে চলাফেরা করি তাদের সম্পর্কে জানতে হবে। সব সময় ভালো মানুষের সাথে মেলামেশা করার চেষ্টা করতে হবে যারা আমাদের ইতিবাচক শক্তি প্রদান করবে। ইতিবাচক চিন্তাধারা আমাদের মানসিক শান্তি প্রদানে সাহায্য করে থাকে। কারো সাথে সমস্যা হলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, যাতে মানসিক চাপ কমে যায়। এভাবে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখতে হবে।
৮. প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন
প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে, তেমনি ভাবে আমাদের জীবনের অনেক ক্ষতির কারণও হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা অনেক কাজ খুব সহজে করতে, বুঝতে এবং শিখতে পারি। আবার এই প্রযুক্তির কারনে আমাদের জীবন অনেক ঝুকির মধ্য দিয়ে যায়। আমরা অতিরিক্ত মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ভাবে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে আমাদের চোখ এবং মাথার উপর অনেক বেশি প্রভাব পড়ে। যার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায় এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের মানসিক চাপ কমাতে অতিরিক্ত মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার কমাতে হবে। দিনের কিছু সময় ফোন ছাড়া থাকতে হবে এবং প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে হবে যাতে মন ফ্রেশ থাকে। প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে উপভোগ করতে হবে।
৯. শখ ও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
মানসিক শান্তির সব চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মানুষের জীবনের শখ। আপনার জীবনের মানসিক শান্তির জন্য আপনাদের নিজের শখ, ইচ্ছে আকাংঙ্ক্ষাকে সব চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। নিজের শখের জিনিস পেয়ে গেলে মনের ভিতর শান্তি অনায়াসে চলে আসবে। তাই নিজের শারীরিক বা মানসিক শান্তি খুঁজে পেতে চাইলে নিজের শখ বা ইচ্ছে কে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের অনেকের শখ বা ইচ্ছে আলাদা হয়ে থাকে, কারো শখ ছবি আঁকা, কারো লেখালেখি করা, কারো সংগীত বা কারো বাগান করা। এমন হাজারো শখ রয়েছে যা একেক জনের একেক রকমের। তাই আপনার নিজের শখ আগে খুঁজে বের করতে হবে এবং সেইটা বাস্তবায়োনের জন্য কাজ করতে হবে। দিনের কিছু সময় আপনার নিজের শখের জন্য কাজ করবেন বা যে কোন সৃজনশীল কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। এর ফলে আপনার ভিতরে একটা ভালো লাগা কাজ করবে এবং মানসিক শান্তি খুঁজে পাবেন। আবার আপনে যেমন কাজ করতে ভালোবাসেন তেমন নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করুন যা আপনাকে মানসিক ভাবে তৃপ্তি দেবে। এই ভাবে নিজের শখ এবং সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
১০. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
মানুষের জীবনের সব চেয়ে বড় সম্পদ তার নিজের সুস্থ শরীর। শরীর সুস্থ থাকলে মানসিক ভাবেও ভালো অনুভব হয় এবং সব কিছু মনোযোগ সহকারে করা যায়। আমাদের উচিত শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। অনেক সময় আমাদের শরীরে অসুখ বাসা বাধলে আমরা বুঝতে পারি না। তাই আমাদের উচিত প্রতি বছর অন্তত একবার হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মদধ্যমে শরীরের সঠিক পরিচর্যা করা। আবার যে কোন শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলা। শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেও হবে না, এর সাথে আমাদের প্রতিদিন ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখতে হবে, যেমন সকালে হাঁটা ও ব্যায়াম করা, মেডিতেশন করা ইত্যাদি। এভাবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং সঠিক নিয়মে চলার মাধ্যমে নিজের সুস্থতা এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারি।
উপসংহার
আমরা এতক্ষণ স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলো প্রতিটি একটা আরেকটির সাথে জরিত। তাই আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। প্রতিদিন সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ইতিবাচক চিন্তা ও মানসিক প্রশান্তির চর্চা আমাদের জীবনে সুখ ও সুস্বাস্থ্য বয়ে আনতে পারে। তাই, আমি মনেকরি দৈনন্দিন জীবনে উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আমরা সুস্থ ও প্রশান্তির জীবনযাপন করতে সক্ষম হবো।