ব্যোমকেশ বক্সী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি করা এই চরিত্রের প্রথম আবির্ভাব হয় ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত সত্যান্বেষী উপন্যাসে। এর পরে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে মোট ৩৩টি গল্প লিখেছেন। সবগুলো গল্প রোমাঞ্চকর ও গোয়েন্দা কাহিনীতে ভরপুর হলেও এই আর্টিকেলে ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্প কোনগুলো তার একটি তালিকা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ব্যোমকেশ বক্সীর পরিচয়
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী। যারা গোয়েন্দা গল্প পড়েন এবং শার্লক হোমস সম্পর্কে জানেন তাদের কাছে ব্যোমকেশ বক্সী অনেকটা একই মনে হতে পারে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় শার্লক হোমস থেকে অনুপ্ররনা নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু তাতে নিজের ফ্লেভার অ্যাড করে ব্যোমকেশ বক্সীকে সৃষ্টি করেছেন। ব্যোমকেশ বক্সীর এই গোয়েন্দা কাহিনীগুলো মূলত অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় যেকিনা ব্যোমকেশের বন্ধু সে লিখে থাকে।
সত্যান্বেষী গল্পে ব্যোমকেশের বিবরণ দিতে গিয়ে অজিত বলেছেন – “তাহার বয়স বোধকরি তেইশ-চব্বিশ হইবে, দেখিলে শিক্ষিত ভদ্রলোক বলিয়া মনে হয়। গায়ের রঙ ফরসা, বেশ সুশ্রী সুগঠিত চেহারা-মুখে চোখে বুদ্ধির একটা ছাপ আছে।” ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা শব্দটা কথা শুনতে ভালো নয় তাই ব্যোমকেশ নিজের খেতাব দিয়েছে সত্যান্বেষী। ব্যোমকেশ বিবাহিত এবং তার স্ত্রীর নাম সত্যবতী।
ব্যোমকেশের পিতা স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন এবং তার মাতা ছিলেন বৈষ্ণব বংশের মেয়ে। ব্যোমকেশের বয়স যখন ১৭ বছর বয়স, তখন তার পিতা ও পরে তার মাতা যক্ষ্মায় মারা যায়। অজিত ও ব্যোমকেশ সপরিবারে হ্যারিসন রোডের বাড়িতে বসবাস করে।
ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্প এর তালিকা
যেমনটা আগেই বলেছি ব্যোমকেশ নিয়ে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় মোট ৩৩টি গল্প লিখেছেন। ব্যোমকেশের প্রতিটি রহস্যভেদের সঙ্গী অজিতের লেখার মাধ্যমে ব্যোমকেশের অধিকাংশ গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ১৩৩৯ থেকে ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের মধ্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশকে নিয়ে ১০টি গল্প লেখার পর পাঠকদের ভালো লাগবে না ভেবে ১৫ বছর ব্যোমকেশকে নিয়ে আর কোন গল্প লেখেননি। পরে ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ থেকে পৌষ চিত্রচোর দিয়ে আবার ব্যোমকেশকে নিয়ে লেখা শুরু করেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ চরিত্র নিয়ে লেখা ৩৩টি কাহিনীর মধ্যে ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্পগুলো –
সীমন্ত-হীরা
সীমন্ত-হীরা গল্পটি ব্যোমকেশের অন্যসব গোয়েন্দা গল্পের মতো কোন পলাতক আসামি বা হিংস্র অপরাধী নিয়ে নয়। রয় বংশের মহা মূল্যবান হীরা হারিয়ে যাওয়ার পরে ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ রয় ব্যোমকেশকে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন। তিনি চান যেন ব্যোমকেশ এবং অজিত হিরাটি অতি সন্তপর্ণে খুঁজে বের করে যাতে করে বেশি লোক জানাজানি না হয়। ব্যোমকেশ কিভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে অজিতকে নিয়ে হিরা খুঁজে বের করে তা অবশ্যই আপনাকে চমকে দেবে। এই গল্পটি অ্যালান পো এর ছোট গল্প “দ্য পারলইন্ড লেটার” এর আদলে লেখা। পরে দেখতে পারেন ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম সীমন্ত-হীরা।
মাকড়সার রস
ব্যোমকেশ সিরিজের অত্যন্ত মজাদার একটি গল্প মাকড়সার রস। নন্দনলাল বাবুর মাকরাসার রস দিয়ে নেশা করার স্বভাব। কিন্তু এর কারণে বয়সের সাথে সাথে তার শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মাকড়সার রস দিয়ে নেশা করতে দিবে না কিন্তু নন্দন লাল আঁটেন এক দুর্দান্ত ফন্দি। পরিবারের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি মাকরাসার রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে নেশা করতে থাকেন। তার কাছে কিভাবে মাকরাসার রস আসে তা ধরতে না পেরে পরিবারিক ডাক্তার মোহন বাবু শরণাপন্ন হন ব্যোমকেশের। পরে ব্যোমকেশ তার বিচক্ষণতা দিয়ে ধরে ফেলে নন্দনলালের ফন্দি।
এই গল্পে নেই কোন হিংস্র অপরাধী বা ভয়ংকর কোনো কাহিনী কিন্তু তারপরেও গল্পটি অনেক মজাদার। এজন্যই এই ছোট গল্পটিও ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্পের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
অগ্নিবাণ
একটি মেয়ে তার নিজের রান্নাঘরে অস্বাভাবিক ভাবে মারা যায়। কোন রকমের কোন সহিংসতা বা আঘাতের চিহ্ন নেই। এমনকি সে কিভাবে মারা গেছে তার কোন রকমের প্রমাণও নেই। পরে যখন একই পরিবারের আরও একজনের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে তখন ব্যোমকেশ বুঝতে পারে এই মৃত্যুর পেছনে কোন অস্বাভাবিক হাতিয়ার জড়িত রয়েছে। ব্যোমকেশ অজিতকে বলে এসব মৃত্যু দিন দিন আরও বেশি রহস্যজনক হয়ে উঠছে। সবগুলো মৃত্যু হার্ট অ্যাটাক মনে হলেও ব্যোমকেশ বুঝতে পারে সবাইকে একই ভাবে খুন করা হয়েছে, কিন্তু প্রমাণের অভাবে কাউকে ধরা যাচ্ছে না। সময়ের সাথে ঘনীভূত হতে থাকে রহস্যের জাল।
রক্তমুখী নীলা
রক্তমুখী নীলা গল্পে, ব্যোমকেশ বক্সী ও অজিত রত্নচুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এক জটিল রহস্যের মুখোমুখি হয়। একটি মূল্যবান নীলা রত্ন চুরি যায় যা এক সময়কার প্রাচীন রাজবংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্যোমকেশ ও অজিত এই রহস্য উদঘাটন শুরু করলে একের পর এক যোগসূত্র উন্মোচন হতে শুরু করে।তারা আবিষ্কার করে, রত্নটি চুরি করতে একটি বড় চক্র দুর্দান্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রতিটি ধাপে তারা নতুন নতুন ধাঁধার মুখোমুখি হয় এবং অবশেষে আসল চোরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ব্যোমকেশের বুদ্ধি ও তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আবারও প্রমাণিত হয়, এবং গল্পটি একটি চমৎকার সমাপ্তিতে পৌঁছে।
দুর্গরহস্য
দুর্গরহস্য গল্পে ব্যোমকেশ ও অজিত একটি রহস্যময় দুর্গের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। দুর্গের মালিক তার সম্পত্তি এবং পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে ব্যোমকেশকে ডেকে আনেন। এই গল্পে, একটি দুর্গে ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক ঘটনা, গোপন পথে অপরাধীদের চলাচল এবং পুরানো এক অভিশাপের মুখোমুখি হয় ব্যোমকেশ। গল্পটি ধাপে ধাপে রহস্য উদঘাটনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে।
ব্যোমকেশ তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বিভিন্ন সূত্র অনুসরণ করে শেষ পর্যন্ত আসল অপরাধীদের ধরে ফেলেন। গল্পটির শেষ অংশে একটি বড়সড় টুইস্ট আছে যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা দুর্গরহস্য গল্পটি ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্প এবং বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
চিড়িয়াখানা
চিড়িয়াখানা গল্পে, ব্যোমকেশ বক্সী ও অজিত একজন বৃদ্ধ ডাক্তার ড. ভুজঙ্গধরের অসাধারণ চিড়িয়াখানায় ঘটা কিছু জটিল কাহিনীর মুখোমুখি হয়। ড. ভুজঙ্গধর তার চিড়িয়াখানার জন্য বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে চিড়িয়াখানায় কিছু রহস্যময় ঘটনা ঘটতে শুরু করে। যেমন একটি মূল্যবান নিদর্শন চুরি হয় এবং সেটির সন্ধানের জন্য ব্যোমকেশের ডাক পরে।
পুরো গল্পটি চিরুনি অনুসন্ধান ও মস্তিষ্কের খেলা দিয়ে ভরপুর। প্রথম প্রথম ব্যোমকেশ নানা জটিলতার মাঝে জড়িয়ে পরলেও পরে তার বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে চোর এবং রহস্য উদঘাটন করে। এক চুরির পেছনে যে এত বড় প্ল্যান থাকতে পারে তা আপনি গল্পটি না পড়লে বুঝতে পারবেন না। ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রের সমাধান করা চমৎকার ও রহস্যময় কেস গুলোর মধ্যে চিড়িয়াখানা অন্যতম।
শৈল রহস্য
শৈল রহস্য উত্তেজনাপূর্ণ ও রহস্যময় ব্যোমকেশ বক্সী কাহিনী। গল্পে ব্যোমকেশ এবং তার সহকারী অজিত একটি পাহাড়ি অঞ্চলে ঘটে যাওয়া রহস্যময় ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। ঐ নির্জন পাহাড়ি এলাকায় একটি চমৎকার প্রাসাদের মালিক, সেখানে ঘটা ঘটনাগুলো নিয়ে চিন্তিত। তাই তিনি অজিত ও ব্যোমকেশকে সেই প্রাসাদে এনে রহস্য সমাধানের ভার দেন।
গল্পের প্রথম অংশে, তারা ওই এলাকায় কি কি অস্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে, কোন গোপন পথ দিয়ে অপরাধীরা আসা যাওয়া করছে, কাদের চলাচল ও চরিত্র সন্দেহজনক তাই লক্ষ্য করে। পরবর্তী অংশে ব্যোমকেশ তার বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, তারা আস্তে আস্তে সেই রহস্য উন্মোচন করে সত্য উদঘাটন করে। এই গল্পে আলাদা আলাদা বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘটা কাহিনী গুলো বার বার ব্যোমকেশকে অনুসন্ধানের ট্র্যাক থেকে আলাদা করার চেষ্টা করতে থাকে।
রুম নম্বর দুই
রুম নম্বর দুই গল্পে ব্যোমকেশ বক্সী ও অজিত একটি রহস্যময় এবং গোপনীয় ঘটনার তদন্ত করতে নামেন। গল্পের প্রেক্ষাপট একটি নির্দিষ্ট রুমকে নিয়ে- রুম নম্বর দুই, যেখানে এক রহস্যময় ঘটনা ঘটে। এই রুমের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক গোপন রহস্য, যা খুঁজে বের করার দায়িত্ব পরে ব্যোমকেশ ও অজিতের উপরে।
গল্পের শুরুতেই একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যেটি উপর থেকে দেখতে সাধারণ মনে হলেও ভিতরে লুকিয়ে আছে অগণিত রহস্য। কিভাবে দেখতে সাধারণ একটি খুনের পেছনে জড়িয়ে আছে ষড়যন্ত্রের এক বড় জাল। তবে ব্যোমকেশ তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা ব্যবহার করে একে একে সমস্ত রহস্যের জাল খুলে প্রমাণ সংগ্রহ করতে শুরু করে। ব্যোমকেশ আসল সত্য উদঘাটন করেন এবং অপরাধীর মুখোশ খোলেন।
শজারুর কাঁটা
শজারুর কাঁটা গল্পটি শুরু হয় এক প্রাচীন ও সম্মানিত পরিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ব্যোমকেশ বক্সী এবং অজিতকে এই পরিবারে সাথে ঘটে যাওয়া রহস্যময় এবং অস্বাভাবিক ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একটি বিশেষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যোমকেশ তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ব্যবহার করে একে একে সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করে।
গল্পটির কেন্দ্রবিন্দুতে একটি অনন্য বস্তু থাকে, যা গল্পের নাম অনুযায়ী “শজারুর কাঁটা” নামক একটি অস্ত্র। শজারুর কাঁটা দিয়ে খুন করার এই অভিনব ঘটনা পুরো গল্পেরই মোড় ঘুরে দেয়। ব্যোমকেশ এবং অজিত এই অস্ত্রের ব্যবহারকারীর খোঁজে তদন্ত করতে থাকে। তাদের তদন্তের ধাপে ধাপে, তাদের সামনে নতুন নতুন প্রমাণ ও ঘটনার রহস্য উন্মোচন হতে থাকে। গল্পের চমকপ্রদ মোড়ে ব্যোমকেশ অপরাধীকে সনাক্ত করে এবং রহস্য উদঘাটন করে।
বিশুপাল বধ
বিশুপাল বধ একটি রহস্যময় গল্প যেখানে ব্যোমকেশ বক্সী ও অজিত একটি হত্যার তদন্তে জড়িয়ে পড়ে। গল্পের শুরুতেই বিশুপাল নামে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির রহস্যময়ভাবে মৃত্যু ঘটে। ব্যোমকেশ ও অজিত তদন্ত শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ঘটনার পিছনের আসল সত্য উদঘাটন হতে থাকে। তারা আবিষ্কার করে, বিশুপালের মৃত্যু একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এর পেছনে অনেক লোক জড়িত আছে। ধাপে ধাপে তারা সকল প্রমাণ ও সূত্র অনুসরণ করে এবং অবশেষে আসল অপরাধীদের সনাক্ত করে।
বিশুপাল বধ গল্পটি ব্যোমকেশ সিরিজের শেষ গল্প এবং শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এই গল্পটি পুরোপুরি শেষ করে যেতে পারেননি, তার আগেই তিনি মারা যান। এই গল্পটি লেখা শেষ করেন নারায়ণ সান্যাল। এই গল্পের ইমোশনাল দিক আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবে, তাই পড়তে পারেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা শেষ গল্প বিশুপাল বধ।
শেষ কথা
ব্যোমকেশ সিরিজ যেহেতু গোয়েন্দা সিরিজ তাই আমি চেষ্টা করেছি কোন রকমের স্পয়লার না দিয়ে কাহানী সম্পর্কে হালকা ধারণা দিতে। আসলে এই গল্প গুলো অনেক ছোট ছোট। মোট ৩৩টি গল্প নিয়ে ১০০০ পৃষ্ঠার একটি বই আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে, আপনি ইচ্ছা করলে সময় করে পুরো বইটি পরে ফেলতে পারেন। সবগুলো গল্পই ভাল এবং উপভোগ্য। কিন্তু সময়ের অভাবে যদি তাও করা সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের এই ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্প এর তালিকা তো আছেই। এই তালিকা ধরে পড়ে ফেলুন ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্পগুলো।
গোয়েন্দা গল্পের ফ্যান হলে এই বাঙালি গোয়েন্দা আপনাকে মুগ্ধ করবে। হ্যাঁ যদি আপনি শার্লক হোমস পরে থাকেন তাহলে কিছুটা সিমিলারিটি আপনি অবশ্যই খুঁজে পাবেন কিন্তু ব্যোমকেশের ও একটি নিজস্ব পরিচয় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন বটে। যাইহোক বাকিটা আপনার হাতে, তবে ব্যোমকেশ বক্সীর সেরা গল্পগুলো আপনাকে হতাশ করবে না এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।