অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বইমেলা যা প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এবং তাদের প্রতি সম্মান রেখে এই মেলা আয়োজন করা হয়। অমর একুশে বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। একুশে বইমেলা বাঙালি লেখক এবং পাঠকদের এক বিশাল মিলন মেলাও বলা চলে। বইমেলা চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন ভিবিন্ন আলোচনা সভার সাথে কবিতা পাঠের আসর বসে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে থাকে। এই মেলাই বিভিন্ন লেখক পাঠক মিলিত হতে একে অপরের সাথে মতবিনিময় করে থাকেন এবং বিভিন্ন নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে থাকেন। এই মেলার কারণে পাঠকদের মনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা এবং বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। এসবের কারণে এটি শুধু একটি বই মেলাই নয় বরং এটি একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
২১শে বইমেলা ২০২৫
বাংলাদেশের সাহিত্য প্রেমীদের জন্য অমর একুশে বইমেলা একটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। প্রতি বছরের মত এবারও ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই মেলা বরাবরের মত ডঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। এবার এই মেলার মূল প্রতিপাদ্য ছিলো “জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ” যা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের উৎসর্গ করে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। প্রতিবারের মত এবারও অনেক প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল, যাদের মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং ৬০৯টি স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল। ছাড়াও ৩৭টি প্যাভিলিয়ন ও ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল ছিল। প্রতিবারের মত এবারও মেলার সময়সূচী আগের মত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা ছিল। আর ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা ছিল।
২১শে বই মেলায় এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে “জুলাই চত্বর” নামে একটি বিশেষ স্থান ছিল, যা জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের উৎসর্গীকৃত। অন্যদিকে প্রতিদিন মেলার মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। মেলায় অনেক লেখক, প্রকাশক এবং পাঠক তাদের মধ্যে মত বিনিময় করত যাকে বলে এক প্রকার সাহিত্যের মিলন মেলা। মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য এক বিশেষ চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতি বছরের মত নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল। এবার মেলায় বাংলা একাডেমি থেকে ৪৩টি নতুন এবং ৪১টি পুনর্মুদ্রিত বই প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এবারের মেলায় মোট নতুন বইয়ের সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ২৯৯টি। এখানে ২১শে বইমেলা কেবল মাত্র নতুন বইয়ের জন্য না এটি বাঙালি সাহিত্য প্রেমী এবং বাংলার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটায়। এখান বাংলার মানুষ এ দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। এই মেলার মাধ্যমে সাহিত্যিক, লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে একটা মত বিনিময় হয়ে থাকে যার ফলে বই পড়ার প্রতি পাঠকরা আরও বেশি আগ্রহী হয়ে পরে।
বইমেলা ২০২৫ বেস্টসেলার কিছু বইয়ের তালিকা
অমর একুশে বইমেলা কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে। প্রতিবছরের মত এবারও ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা স্থায়ী ছিল। আগের বছরের তুলনায় এবার মেলায় অনেক বেশি প্রকাশনা এবং স্টল ছিল। আগের থেকে এবার বই বিক্রি অনেক বেশি হয়েছে যা প্রকাশক এবং পাঠকদের থেকে জানা গিয়েছে। প্রতি বছরের মত বাংলা একাডেমি কর্তিক যে সব বই বেশি বিক্রি হয় সেগুলো কে বেস্টসেলার হিসেবে প্রকাশ করা হয়। আমাদের জানা মতে এখনো এই রকম কোন তালিকা বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেনি। তাই একুশে বইমেলা ২০২৫ বেস্টসেলার বই সম্পর্কে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বই সেলিং অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আমরা বইমেলা ২০২৫ সালের বেস্টসেলার কিছু বইয়ের তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
কিছু বেস্টসেলার ফিকশন বই
একুশে বইমেলা ২০২৫ অনেক নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে আবার অনেক পুরনো বই নতুন মোরকে উন্মোচন করা হয়েছে। এসব বইয়ের মধ্যে অনেক ক্যাটাগরির বই রয়েছে যেমন ফিকশন, নন ফিকশন, ধর্মীয়, একাডেমিক ইত্যাদি। এসব বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে পাঠকদের মধ্যেও একেক জনের চাহিদা একেক রকম। কেউ ফিকশন বই পড়তে পছন্দ করে, আবার কেউ নন ফিকশন পছন্দ করে, আবার কেউ ধর্মীয় ক্যাটাগরি বই পড়তে পছন্দ করে। তাই বই মেলায় কোন বই বেশি বিক্রি হবে তা আগে থেকে বলা মসকিল। আর এবারের বইমেলাতে প্রকাশিত ফিকশন ক্যাটাগরির যেসব বই রকমারিতে বিক্রি হয়েছে তাদের একটি বেস্টসেলার বইয়ের তালিকা নিম্নরূপ।
১. আমি পদ্মজা – ইলমা বেহরোজ
২. আমৃত্যু ভালোবাসি তোকে – সালমা চৌধুরী
৩. শামীম হুসাইন: ফ্রিল্যান্সার গড়ার কারিগর – রাহিতুল ইসলাম
৪. শঙ্খচূড় দ্বিতীয় খণ্ড – সাদাত হোসাইন
৫. তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা – সাদাত হোসাইন
৬. প্রাক্তন – কয়েস সামী
৭. ভুল – অন্তিক মাহমুদ
৮. প্যারা নাই – মাসফিক এনাম তূর্য
৯. শৈলচূড়ায় চাঁদের হাসি – ইলমা বেহরোজ
১০. মনে পড়ে মনও পোড়ে – সালমান হাবীব
১১. চিত্ত চিরে চৈত্রমাস – মম সাহা (বিষাদিনী)
১২. কাঁটা ও ফুল – ইয়াহইয়া সিনওয়ার , মনযূরুল হক (অনুবাদক)
১৩. নীল নক্ষত্রের নিচে – আমিনুল হক
১৪. ইটপাটকেল ২ – সানজিদা বিনতে সফি
১৫. খালেদা – মহিউদ্দিন আহমদ
কিছু বেস্টসেলার নন-ফিকশন বই
নন ফিকশন বই বাংলা সাহিত্যের এমন একটি অধ্যায় যেখানে লেখক কল্পনাকে ব্যবহার না করে নিজের বাস্তব ঘটনা, সত্য তথ্য এবং বিশ্লেষণকে তুলে ধরেন। এই সমস্ত বই পাঠকদের নিজস্ব চিন্তাশক্তির উন্নয়ন, জ্ঞান বৃদ্ধি এবং বাস্তব জীবনের নানান সমস্যা সমাধাণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নন-ফিকশন বইয়ের মধ্যে রয়েছে আত্মজীবনী, জীবনী, ইতিহাস, ভ্রমণকাহিনি, অনুপ্রেরণামূলক বই, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, ব্যবসা এবং আত্মউন্নয়ন বিষয়ক বই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ের তরুণ পাঠকেরা আত্মউন্নয়নমূলক ও উদ্যোক্তা বিষয়ক নন-ফিকশন বইয়ের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। পাঠকরা মনে করতিছে জ্ঞানমূলক ও প্রাকটিক্যাল বইয়ের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তি জীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রভাব পরবে। এই ধরনের বই পাঠকদের নতুন কিচছু শিখার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং নিজেকে নতুন করে জানার সুযোগ করে দেয়। আর এবারের একুশে বইমেলায় রকমারির হিসাব অনুযায়ী কিছু নন ফিকশন বেস্টসেলার বইয়ের তালিকা নিয়ে প্রদান করা হলো।
১. ব্রেইন ব্যালেন্স ইকুয়াল ব্যাংক ব্যালেন্স – মুহাম্মদ ইলিয়াস কাঞ্চন (কোচ কাঞ্চন)
২. Art Of Triumph – July Shaheed Smriti Foundation (Editor)
৩. দ্যা গ্রোথ কোড – মার্ক অনুপম মল্লিক
৪. যদি লক্ষ্য থাকে অটুট – আসিফ ইকবাল
৫. যেতে যেতে তোমাকে কুড়াই – সাদাত হোসাইন
৬. জামায়াতে ইসলামী – মহিউদ্দিন আহমদ
৭. ইতিহাসের ছিন্নপত্র -তৃতীয় খণ্ড – কায় কাউস
৮. স্টোরিটেলিং ফর ব্র্যান্ডিং – শাহরোজ ফারদি
৯. পলাশি থেকে ধানমণ্ডি – ১ম-৩য় খণ্ড – মনযূর আহমাদ
১০. প্রিজনার্স অব জিওগ্রাফি – টিম মার্শাল , হাসান মাহবুব (অনুবাদক)
১১. বিক্রয় ম্যাজিক – মিজানুর রহমান সোহেল
১২. লেখো – জুনায়েদ ইভান
১৩. ডু হোয়াট ইউ আর – রায়হানুল ইসলাম (অনুবাদক)
১৪. সমতার আড়ালে সমকামিতা মিশন – ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন
১৫. রাঁধুনীর রান্নাঘর বাংলার সেরা ১০০ রেসিপি – স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সম্পাদনা পরিষদ (সম্পাদক)
কিছু বেস্টসেলার ধর্মীয় বই
ধর্মীয় বই আমাদের জীবনের আত্মিক উন্নয়ন, নৈতিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধর্মীয় বই পড়ার মাধ্যমে আমরা ধর্মের রীতিনীতি, বিধিনিষেধ এবং আইন কানুন সম্পর্কে জানতে পারি। একজন মানুষের তার নিজ ধর্ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। আর নিজের ধর্ম বা অন্যের ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ধর্মীয় বই অনেক ভূমিকা পালন করে। ধর্মীয় বই শুধুমাত্র রীতিনীতি শেখায় না, আমাদের মনের গভীরে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তরও এই ধর্মীয় বই থেকে পেয়ে থাকি। ধর্মীয় বই পড়া শুধু ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্যই নয়, বরং জীবনের সঠিক পথ বেছে নেওয়ার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে ধর্মীয় বই পড়েন তাদের মানসিক প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মশুদ্ধির জন্য। আমাদের জানা মতে বইমেলা ২০২৫ এ অনেক ধর্মীয় নতুন বই সেল হয়েছে। যার মধ্যে কিচছু বেস্টসেলার বইয়ের তালিকা প্রকাশ করলাম।
১. এক নজরে কুরআন – ড. মিজানুর রহমান আজহারি
২. উমরাহ সফরের গল্প – আরিফ আজাদ
৩. মাহে রমযানের ২৭ আমল – শায়খ আহমাদুল্লাহ
৪. কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ – আরিফ আজাদ
৫. উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সঃ) – মিরাজ রহমান
৬. আল কোরআনের বৈজ্ঞানিক তাফসির: সূরা আল বাক্বারা – মোহাম্মদ নসরত হোসেন
৭. দ্য গ্রেট গেইম – মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ
৮. কোরআনুল কারীমের তারজুমানী – মাওলানা আবু তাহের মেছবাহ (অনুবাদক)
৯. উসমানি সালতানাতের ইতিহাস ৪ খণ্ড – ড. রাগিব সারজানি , আবু মুসআব ওসমান (অনুবাদক)
১০. অলসতার বিরুদ্ধে লড়াই – মাহমুদ বিন নূর
১১. মুসলিম জাতির ইতিহাস – আহমাদ মামুর আল উসাইরি , আবদুর রহমান আযহারী (অনুবাদক)
১২. নির্বাচিত দারসুল কুরআন – অধ্যাপক মফিজুর রহমান
কিছু বেস্টসেলার ক্যারিয়ার ও একাডেমিক বই
আমাদের মধ্যে অনেক পাঠক আছে যারা ক্যারিয়ার ও একাডেমিক বিষয়ের বই পড়তে পছন্দ করেন। ক্যারিয়ার ও একাডেমিক বই বেশির ভাগ সময় শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রত্যাশী এবং পেশাজীবীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুূমিকা পালন করে থাকে। এখানে একাডেমিক বই মূলত বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে লেখা হয়। এসব বইয়ের মধ্যে গাইড বা পাঠ্যপুস্তক সহায়ক বই, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির বই এবং আন্তর্জাতিক পরীক্ষার প্রস্তুতির বই থাকে। অপরদিকে ক্যারিয়ার ভিত্তিক বইগুলো পেশাজীবী বা চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য লেখা হয়। এসব বইয়ের মধ্যে ইন্টারভিউ প্রস্তুতি, চাকরী পরীক্ষা প্রস্তুতি, টাইম ম্যানেজমেন্ট ও প্রোডাক্টিভিটি, উদ্যোক্তা ও ব্যবসা বিষয়ক এবং টেকনিক্যাল স্কিল শিখতে সহায়ক বই। এসব বই পাঠকদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে এবং বাস্তব জীবনে সফল হওয়ার কৌশল শেখায়। ক্যারিয়ার ও একাডেমিক বই পড়ার মাধ্যমে একজন মানুষের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনের অনেক বড় ভুূমিকা রাখে। আর এবারের একুশে বইমেলা ২০২৫এ ক্যারিয়ার ও একাডেমিক বই হিসেবে বেশ কিছু বেস্টসেলার বই রয়েছে তা নিম্নরূপ।
১. জোবায়ের’স জিকে – জোবায়ের আহমেদ
২. অভিযাত্রী বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ লিখিত ও এমসিকিউ – মোঃ আবু বকর সিদ্দিক
৩. ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন Analysis – গাজী মিজানুর রহমান (বিসিএস)
৪. নেটওয়ার্ক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহায়িকা – আসপেক্ট সিরিজ লেখকবৃন্দ
৫. ছোটদের ইংলিশ থেরাপি – সাইফুল ইসলাম
৬. প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ Analysis – গাজী মিজানুর রহমান (বিসিএস)
৭. কিউএনএ এসএসসি সাজেশন উইথ সলিউশন – কিউএনএ পাবলিকেশন্স লেখক পরিষদ
৮. বাংলা এ প্লাস – এইচএসসি ২০২৬ – নাহিদ হাসান মুন্না
৯. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহায়িকা – মানবিক – জয়কলি সম্পাদনা পরিষদ
১০. বাংলা বিচিত্রা ১ম ও ২য় পত্র – পংকজ কুমার সিকদার , ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম
১১. মারহাবা, জাভাস্ক্রিপ্টে মারো থাবা – ঝংকার মাহবুব
১২. GST গুচ্ছ এইড A ইউনিট – বিজ্ঞান – জয়কলি সম্পাদনা পরিষদ
১৩. সহজ Biology (নবম – দশম শ্রেণি) – জুন্নুরাইন খান
১৪. কাব্য ভাইয়ার ম্যাথ ট্রিকস (১ম ও ২য় পত্র ) – খালেদুর রহমান কাব্য
১৫. ইংলিশ বিচিত্রা – মোঃ জাকির হোসেন , বিনয় কুমার হালদার , সুদীপ সরকার
শেষ কথাঃ
একুশে বইমেলা ২০২৫ ছিল বাংলার সাহিত্য প্রেমীদের জন্য এক বিশেষ উপহার সরূপ। এই মেলায় প্রকাশিত নবিন ও প্রবীন লেখকদের বই বাংলার সাহিত্য প্রেমী পাঠকদের মন জয় করেছে। এবার বইমেলায় বিক্রয়ের দিক থেকে কিছু বই নতুন ভাবে রেকর্ড গড়েছে। এই তালিকায় যেমন প্রবিন লেখক রয়েছে তেমনি ভাবে কিছু নতুন লেখকও রয়েছে। এই বেস্টসেলার বইগুলো কেবল পাঠকদের রুচির পরিবর্তনকেই তুলে ধরে না বরং বর্তমান বাংলাদেশের সাহিত্যের প্রাণবন্ত অবস্থাকেও প্রতিফলিত করে। আর বেস্টসেলার এই তালিকা শুধু জনপ্রিয়তার দিক থেকেই নয়, বরং বর্তমান সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানুষের চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনারা যদি ২০২৪ সালের বইমেলার বেস্টসেলার বই সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের এই প্রবন্ধ পড়তে পারেন।