বইতো অনেক আছে এবং আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের গল্প, উপন্যাস, সাহিত্যের বই পড়ি। কিন্তু এই বইগুলো শুধু আমরা অবসর সময় অতিবাহিত করার জন্য বা ক্ষণিকের জন্য আনন্দ নেওয়ার জন্য পড়ে থাকি। এই ধরনের বইগুলো থেকে আমরা তেমন কিছু শিখতে পারিনা যা আমাদের ধর্মীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাই আমদের উচিত ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই গুলো পড়া, যেগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি ইসলামের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করে তুলবে। এই আর্টিকেলে আমি এই রকমই সেরা কিছু ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই এর নাম এবং বইগুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে বলব। চলুন তাহলে জেনে নেই ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই সম্পর্কে।
ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই গুলোর নাম জানার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু পরিষ্কার করে বলে নেওয়া ভাল। যেহেতু ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই তাই অবশ্যই বই গুলো ইসলাম ধর্ম বিষয়ে ফোকাস করে লেখা এবং ইসলামের অনেক ইতিহাস ও উদাহরণ বইগুলোতে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবে যেমনটা হবার কথা। এই বইগুলো কুরআন ও হাদিসের পাশাপাশি পড়লে ইসলামকে আরও ভাবে জানতে পারবেন। এই সবগুলো বইতেই বর্তমান সময়ের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ঘটনার বা দৈনন্দিন উদাহরণের মাধ্যমে ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অনেক অনেক বইয়ের মধ্যে থেকে শুধু মাত্র ১০টি ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই বেছে নেওয়া হয়েছে এবং বইগুলো কোন র্যাঙ্ক এর ভিত্তিতে সাজানো হয়নি। তাহলে চলুন দেখে নেই কোন বইগুলো আছে আমাদের ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বইয়ের তালিকায়-
বাক্সের বাইরে বইতে লেখক শরিফ আবু হায়াত অপু চেয়েছেন মানুষ যেন শুধু তার জীবন পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত না হয়ে পড়ে। লেখক বইটিতে মানুষের চিন্তা জগতকে আরও জাগ্রত করতে চেয়েছেন। যাতে করে কোন বিষয়কে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে অনুসরন না করে, যৌক্তিক প্রশ্ন করে। বংশ পরম্পরায় পাওয়া ইসলামকে অনুসরন করার আগে ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জেনে, ইসলামের বিধি নিষেধ সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যখন ইসলাম সম্পর্কে মানুষ সত্যিকার অর্থে জানতে পারবে তখনই মন থেকে মানতে পারবে। আপনি যদি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই বইটি পড়তে পারেন।
এছাড়াও বইটিতে বিভিন্ন আলাদা আলাদা ঘটনার উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের চারপাশে ঘটা বিভিন্ন বিষয়কে যদি আমরা মানবিকভাবে চিন্তা করি তাহলে আমাদের ভেতরের মনুষ্যত্বের জায়গাকে নাড়া দিবে। আসলে আমাদের চোখ থেকে রঙিন চশমাটা খুলে পৃথিবিকে অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন লেখক। বইটিতে কিছু বাস্তবতার কথা খুব তীক্ষ্ণ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে যা হয়ত আমাদের চিন্তা করার বা কোন ঘটনাকে দেখার পদ্ধতিকেই বদলে দিবে।
আরিফ আজাদ বর্তমান সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা প্রায় সবগুলো লেখাই একুশে বইমেলায় বেস্টসেলার হয়। বেলা ফুরাবার আগে বইটিতে লেখক বিভিন্ন আলাদা আলাদা ঘটনার উপরে আলোচনা করেছেন। বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে যেন চোখে আঙুল দিয়ে যুব সমাজের ভুল গুলোকে দেখিয়ে দিয়েছেন।
বর্তমান তরুণ সমাজ পশ্চিমা বিশ্বের ফাঁদে পড়ে ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। পদে পদে ভুল করছে এবং তাদের মাঝে এই সম্পর্কে অনুশোচনা পর্যন্ত নেই। আরিফ আজাদ সেই ভুল গুলোকে ধরে দেওয়ার পাশাপাশি তা থেকে বের হয়ে আসার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন এই বইটিতে। আমি মনে করি সকল মুসলমান যুবক ভাইকে এই সময় উপযোগী বইটি একবার হলেও অবশ্যই পড়া উচিত।
সীরাতুর রাসুল (ছাঃ) বাংলা ভাষায় সিরাতের একটি সেরা বই। লেখক আসাদুল্লাহ আল-গালিব অত্যন্ত সহজ সাবলীল ভাষায় বইটি লিখেছেন। বইটির শুরুতে লেখক রাসূল (ছাঃ) এর জন্মের সময়কার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় আবস্থা তুলে ধরেছেন।
লেখক বইটিকে তিনটি পর্বে ভাগ করে ১ম পর্বে রাসূল (ছাঃ) এর মাক্কী জীবন, ২য় পর্বে মাদানী জীবন এবং তৃতীয় পর্বে নবী চরিত নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া এই বইয়ের প্রতিটি ঘটনা শেষে আমাদের জীবনে ঐ ঘটনা থেকে কি শেখার আছে সেই বিষয়েও আলোচনা করেছেন। যেহেতু নবী (ছাঃ) এর জীবন নিয়ে আলোচনা তাই প্রতিটি বিষয়ের নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স দিয়েছেন। দুর্বল, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট কাহিনী থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করেছেন। বইটিতে সকল তথ্য খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে যাতে করে পাঠক সহজেই বিষয়বস্তু বুঝতে পারে।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটি দিয়েই লেখক আরিফ আজাদ আলোচনায় আসেন। যখন প্রথম প্রকাশিত হয় তখন বইমেলায় অনেক সারা ফেলেছিল এবং বেস্ট সেলারও নির্বাচিত হয়। তো কি আছে এই বইটিতে? অনেক সময়ে নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা সবাই। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্মকে মিথ্যা বানানোর অপচেস্টা করে নাস্তিকদের করা এইসব প্রশ্নের উত্তর কুরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে খুব সন্দর ভাবে দিয়েছন লেখক আরিফ আজাদ।
বইটিতে লেখক তার নাস্তিক বন্ধু সাজিদের বিভিন্ন প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে যেন সব নাস্তিকদেরকেই উত্তর দিয়েছেন। পুরো বইটি কনভারসেশন আকারে লেখা এবং সাজিদের করা প্রশ্ন গুলোর উত্তর লেখক বিজ্ঞান আর কুরআনের রেফারেন্স ব্যবহার করে দিয়েছন। এই বইটি আমার পারসোনাল ফেভারিট। অনেক সময় কুরআন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব এবং দুর্বল ইমানের কারণে নাস্তিকদের করা প্রশ্ন গুলো শুনে নিজের মনেও প্রশ্ন জাগে, বইটি পড়লে আপনি অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এই বইটির পার্ট ২ আছে, ইচ্ছা করলে সেই বইটিও পড়ে দেখতে পারেন।
শেকড়ের সন্ধানে বইটিতে বনি ইসরাইলের ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হয়েছে। দেখানো হয়েছে কিভাবে একটি উম্মাহ থেকে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান জাতির সৃষ্টি হয়েছে। এই বই পড়ার পরে আপনার মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হবে। এছাড়াও কুরআনে বর্ণিত ঘটনা গুলো বুঝতে সহজ হবে, ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে আপনার জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হবে।
এই বই থেকে আরও জানতে পারবেন- জিন জাতি সম্পর্কে, খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে সেখানে তাওহীদের কথা অক্ষত আছে, কেন বনী ইসরাইলরা নিজেদের ইহুদি হিসেবে পরিচয় দেওয়া শুরু করল ইত্যাদি। আসলে কেন খ্রিস্টান ও ইহুদিরা ইসলামের বিকৃত শাখা সেই সম্পর্কে এই বইটিতে লেখক হামিদা মুবাশ্বেরা খুবই সহজ ও সাবলীল ভাবে আলোচনা করেছেন, যাতে করে আপনি কুরআনের ঘটনা প্রবাহ গুলো সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন। ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়ার জন্য এই বইটি পড়তে পারেন।
আসিফ আদনানের চিন্তাপরাধ বইটি যেসব মুসলমান নিজেদের ইসলামের বিধান ভুলে পশ্চিমা বিশ্বের চকচকে রঙিন দুনিয়ার মোহে অন্ধ হয়ে পড়েছে তাদের জন্য চরম শিক্ষা। সংবিধানের এই সমাজে আজ কুরআন ও শরিয়াহ আইনের কথা বলা দোষনীয় অপরাধ। নারী স্বাধীনতার এ সময়ে হিজাব-পর্দার কথা অনেকের কাছে হাস্যকর। বিজ্ঞানের এই যুগে এসে কুরআন-সুন্নাহ চর্চা বিলুপ্তির পথে। ব্যাংক ব্যবসার এই সুদের সময়ে ইসলামী বায়তুল মালের কথা বলা রীতিমতো অপরাধ। ভ্যাট আর ট্যাক্সের অন্ধকারে যাকাত আজ অবহেলিত। গণতন্ত্রের যুগে খিলাফতের ধারণা নাকি অগ্রহণযোগ্য।
এই সবকিছু মনে হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের চিন্তা চেতনাকে পশ্চিমা প্রভুদের কাছে বন্ধক রেখেছি। পশ্চিমা গুরুরা আমাদের যেভাবে চিন্তা করতে বলে, তার ব্যতিক্রম হলেই আমরা অপরাধী। আর “চিন্তাপরাধ” বইটি আমাদেরকে ঠিক সেভাবেই চিন্তা করতে শেখায়, যা পশ্চিমাদের চোখে অপরাধ।
এ বই আমাদের মনে এমন চিন্তা জাগ্রত করে যা সরাসরি প্রশ্ন করে পশ্চিমা অন্ধভক্তির ভিত্তিকে। সেক্যুলারিজম, বাক-স্বাধীনতা, নারী অধিকার, সমকামি বা ট্রান্সজেন্ডার মুভমেন্টের মতো বিষয়গুলো যে পশ্চিমা সমাজের ভন্ডামী ও অসারতা সেই বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এজন্যই মানসিক দাসত্বের যুগে বইটির নাম “চিন্তাপরাধ”!!
তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে বইটি পড়ার সময় আপনার মনে হবে যেন আপনার এতদিনের করা ভুলগুলো কেউ যেন চোখে আঙুল দিয়ে কেউ দেখিয়ে দিচ্ছে। ইসলামের আদেশ-নিষেধ, অনুশাসন থেকে কিভাবে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি, কিভাবে ইসলাম বিদ্বেষী বিষয়গুলো আমাদের জীবনে আমারা খুব সাধারণ ভাবে মেনে নিতে শুরু করেছি তা এই বইটি খুব সন্দরভাবে তুলে ধরেছে। আপনি যদি চিন্তাশীল অন্তর নিয়ে বইটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন মুসলিম হিসেবে আপনার কি করা উচিত এবং আপনি কি করছেন।
বইটিতে মোট ৩৯ টি প্রবন্ধ আছে এবং প্রতিটি প্রবন্ধতেই আমারা সেসব সাধারণ ভুলগুলো করি যা মুসলিম হিসেবে আমাদের করা উচিত নয় সেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন- দাড়ি কি রাখতেই হবে? গান কি না শুনলেই কি নয়? পয়লা বৈশাখ পালন, শারদীয় শুভেচ্ছা, জন্মদিন পালনের মতো বিষয় গুলো সময়ের সাথে সাথে আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে, যা একজন মুসলিম হিসেবে কখন করা উচিত নয়। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ে শরীফ আবু হায়াত অপু খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন। এই বইটি অবশ্যই পড়ে দেখা উচিত।
পড়ো বইটিতে লেখক ওমর আল জাবির পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মুসলমানই সারাজীবন কোনরকম অর্থ না জেনেই কুরআন পড়ে যায়। আল্লাহ কুরআন নাজিল করেছেন মানুষের জীবন পরিচালনার গাইড হিসেবে, আর সেই কুরআন যদি আপনি না বুঝেই মুখস্ত করে তোতা পাখির মতো পড়ে যান তাহলে এর সার্থকতা কোথায়? কোরআনের এক একটা লাইনের অনেক গভীর অর্থ আছে। সেই বিষয়টিকে সহজ করার কাজ করেছে এই পড়ো বইটি।
বইটিতে কুরআনের আয়াত গুলোর অর্থ জীবন বিষয়ের সাথে মিল রেখে আলোচনা করা হয়েছে। এই বইটি কোরআনের তাফসির নয়, যারা কোরআন বুঝে পড়তে চায় এবং কোরআনের কোন লাইন কি অর্থ বহন করে তাদের মাঝে আগ্রহ ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটা চেষ্টা। আপনি যদি কুরআনের অর্থ গুলো জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ে দেখতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড দেখে সবাই বুঝতে পেরেছে ইহুদিরা কি রকম জাতি এবং তারা কি রকমের চক্রান্ত তৈরি করতে সক্ষম। তবে আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড এই বিষয়টি আরও প্রায় ২০০ বছর আগেই জানতে পেরেছিলেন। ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল কিভাবে পৃথিবীকে ঘিরে ধরেছে তা নিয়ে তিনি একটি ম্যাগাজিনে প্রায় ২০০ এর বেশি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। পরে সেই প্রবন্ধগুলো নিয়ে একত্রিত করে বই আকারে পাবলিশ করা হয়। সেই বইটিকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন ফুয়াদ আল আজাদ।
সময় উপযোগী এই বইটি পড়লে আপনি কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন যেমন – ইহুদি কারা? জায়োনিস্ট কারা? এদের মাঝে পার্থক্য কি? এছাড়াও সংক্ষেপে ইহুদিদের ইতিহাস জানতে পারবেন। ইজরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে কোথায় ছিলো তারা? কিভাবে তারা সফল হলো? ইহুদিদের ষড়যন্ত্র কি সত্য? প্রমাণ কি? এই বিষয় গুলো নিয়ে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু বিষয়ে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে আর কিছু বিষয় হেনরি ফোর্ড তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে ইহুদিরা অন্যায় ভাবে ফিলিস্তিন দখল করে আলোচনায় এসেছে, তাই তাদের সম্পর্কে আরও জানতে আপনি এই বইটি পড়তে পারেন।
বাস্তব জীবনে আমাদের অনেকের মনেই আমি কে? পৃথিবীতে আমার কাজ কি? এই ধরণের প্রশ্ন আসে, লেখক বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়েছেন। শুধু এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর নয় বরং লেখক আরও কিছু গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন দিয়েছেন বিভিন্ন গল্প ও উদাহরণের মাধ্যমে। আর এই উদাহরণ গুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে মিল থাকার কারণে বুঝতেও সহজ হয়। মাঝে মাঝে মনে হবে আরে এই ঘটনা তো আমার সাথেও ঘটেছে।
বইটি ছোট ছোট ইন্টারেস্টিং অনুচ্ছেদে ভরপুর, যেমনঃ মধ্যবিত্ত পাথর পিতা, প্রিয় লেজ, থইথই ভালোবাসা জাগাবো বলে, একজন চেনা শিক্ষকের অচেনা কথা, বোতল, কবে শিখবো ভালোবাসতে? জীবন্ত মিরাকল। কিছু কষ্ট-কথা অনুচ্ছেদের গল্প গুলো পড়ার পরে হয়ত দেখবেন আপনার চোখের কোনে জমে আছে কয়েক ফোটা অশ্রু। বইটি সম্পর্কে লেখক আরিফ আজাদ বলেছেন- “উল্টো নির্ণয় বইটি আপনাকে উল্টো করে সত্যকে নির্ণয় করে দেখাবে যে সত্য কতোটা সহজাত আর সুন্দর হয়।”
অনেক মুসলমান আছে যারা কুরআন না জেনে অর্থ না বুঝেই পড়ে এতে করে জ্ঞানের অভাবে অনেক ভুল ধারনার সৃষ্টি হয়। তাই সেরা কিছু ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই নিয়ে এই তালিকাটি করা হয়েছে। সকল মুসলমান ভাই বোনদের কোরআন হাদিসের পাশাপাশি এই ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই গুলো অবশ্যয় পড়া উচিত। এতে করে যেমন ইসলাম সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানা যায় তেমনি নিজের ইমানও শক্তিশালী হবে।
ইসলাম হল পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, তাই এই প্রতিটি বিষয় ভালভাবে জেনে তবেই ইসলাম মানতে হবে, যদি তা না করেন তাহলে নিজের মনের ভেতরই অনেক প্রশ্ন তৈরি হবে। আর সময়ের সাথে সাথে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর না পেলে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবেন। তাই সকলের উচিত সময় করে এই সব ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই গুলো পড়া। সেই ইচ্ছা থেকেই এই লিস্টটি তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় থাকা সবগুলো বইতেই আপনি কিছু না কিছু পাবেন যা আপনাকে অনুপ্রেরনা যোগাবে, ইসলামকে আরও বেশি জানতে ও বুঝতে সাহায্য করবে। আল্লহ জ্ঞান অর্জনকে ফরজ করেছেন, তাই সময় করে ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বই গুলো অবশ্যই পড়া উচিত। তাই বেশি বেশি বই পড়ুন, জ্ঞান অর্জন করুন এবং ইসলামকে মন থেকে মেনে চলুন।
হুমায়ন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় নাম। হুমায়ন আহমেদের লেখা সকল বই, বইপ্রেমিদের নানা ভাবে…
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলের একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি। তার লেখা সকল কবিতা পাঠকদের নানা ভাবে…
নাটক ও উপন্যাস পছন্দ করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই দেখা যায়। মানুষের বিনোদন…
বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস জগতের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা হচ্ছে আঞ্চলিক উপন্যাস। আঞ্চলিক উপন্যাসের মধ্যে কোন একটি…
রাজনৈতিক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের এমন একটি শাখা যেখানে কোনো রাজনৈতিক ঘটনা, রাজনৈতিক পরিবেশ, রাজনৈতিক ব্যক্তি,…
ইসলামিক উপন্যাস মূলত মুসলিম ধর্মের জনসাধারণের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এর কারণ…